Blogging

দাউদের এন্টিবায়োটিক ঔষধ, সেরা ৬ টি উন্নতমানের কার্যকরী ঔষধ

দাউদের এন্টিবায়োটিক | দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ

দাউদের এন্টিবায়োটিক, দাউদ একটি ছত্রাক জনিত রোগ যেটি রিংওয়ার্ম নামক ছত্রাকের আক্রমণের ফলে হয়। দাউদ হলে চুলকানির স্থানটি গোলাকার হয়ে যায় বলে এর নাম রিংওয়ার্ম। তাই আপনার জন্য দাউদের এন্টিবায়োটিক এবং দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ সম্পর্কে জানা অত্যধিক প্ৰয়োজন। গ্রামীণ অঞ্চলে একটি খুবই পরিচিত একটি রোগ। এই ছত্রাকটি মুলত কাপড় চোপড়ের মাধ্যমে দেহে বাসা বাধে। এছাড়া দাউদ আক্রান্ত কোন মানুষের সংস্পর্শে অথবা কোন প্রানীর সংস্পর্শে দাউদ হতে পারে। দাউদের এন্টিবায়োটিক এবং দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ 

দাউদের এন্টিবায়োটিক ৬ টি 

নিচে দাউদের ৬ টি এন্টিবায়োটিক ঔষধ নিয়ে আলোচনা করা হলো যেগুলো সেবন করলে আপনি দাউদ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

১. কসফ্লু ট্যাবলেট ( Cosflu tablets )

কসফ্লু একটি এন্টিবায়োটিক যা ছত্রাক ধংস করতে সাহায্য করে। এটি দাউদ সৃষ্টিকারী রিংওয়ার্ম ছত্রাক নিরাময়ে সাহায্য করে। এছাড়া এটি শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি সৃষ্টিকারী ছত্রাক ধংস করতে সাহায্য করে। এই ট্যাবলেটটির বর্তমান বাজার মূল্য ৭.২০ টাকা। আরো ভালোভাবে জানতে official site ভিজিট করতে পারেন। 

২. ফ্লুজল ৫০ ( Fluzol 50 )

ফ্লুজল ৫০ একটি এন্টিফাঙ্গাল ট্যাবলেট যেটি চুলকানি সৃষ্টিকারী ছত্রাকের কোষ ভেঙে দিয়ে তার উৎপাদন বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়। এটি দাউদ সৃষ্টিকারী রিংওয়ার্ম ধংস করতে সক্ষম। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের চুলকানি চিকিৎসায় এই ওষুধটি সেবন করতে পারেন। এই ওষুধটির বাজারমূল্য ৮ টাকা। আরো ভালোভাবে জানতে official site ভিজিট করতে পারেন। 

৩. ফ্লুজো ( Flujo )

ফ্লুজো আরেকটি খুবই ফলদায়ক এন্টিফাঙ্গাল ওষুধ। এটি খুবই দ্রুত ছত্রাক ধংস করতে সাহায্য করে। এটি ছত্রাকের কোষ প্রাচীর ধংস করার মাধ্যমে ছত্রাকের পরিমাণ কমায়। এটি খুব দ্রুত কাজ করার জন্য বিখ্যাত। এই ওষুধটির বাজারমূল্য ৮ টাকা।

৪. অনিকন ( Anicon )

অনিকন যেনিথ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের তৈরী একটি এন্টিফাঙ্গাল ট্যাবলেট। এটিও খুবই দ্রুত চুলকানি সৃষ্টিকারী ছত্রাক ধংস করে দেয়। অনিকন চুলকানি সৃষ্টিকারী ছত্রাকের কোষ মেমব্রেন ধংস করার মাধ্যমে ছত্রাকের পরিমাণ কমায়। এই ওষুধটির বাজারমূল্য ৫ টাকা।

৫. ফ্লুকসটিন ( Fluoxetine ) 

ফ্লুকসটিন ফাঙ্গাল ইনফেকশন দুর করতে সাহায্য করে। দাউদ এর প্রভাবে ক্ষত স্থানে ইনফেকশন হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি এই ট্যাবলেটটি সেবন করতে পারেন। এটি ইনফেকশন থেকে ছত্রাক অপসারণে সাহায্য করবে। ফলে দাউদ থেকে সৃষ্ট ইনফেকশন দ্রুত নিরাময় হবে। এই ওষুধটির বর্তমানে বাজারমূল্য ৭ টাকা

৬. ফ্লুভিন ওডি ( Fluvin OD ) 

ফ্লুভিন ওডি আরেকটি ইনফেকশন দুর করার ট্যাবলেট। এটি দাউদ থেকে সৃষ্ট ইনফেকশন দুর করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধটি দাউদের স্থানের ছত্রাক ধংস করতে সাহায্য করে। ওষুধটির বর্তমান বাজারমূল্য ৯ টাকা।

আরো পড়ুন:

What Does a Car Accident Lawyer Do?

দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ ও ক্রিম ও সাবান

দাউদ সাধারণত পশ্চাৎদেশে, হাতে, পায়ে, গলায় ইত্যাদি অঞ্চলে হয়। বিশেষ করে গরূ থেকে বেশি দাউদ ছড়ায়। দাউদ হলে দেহের একটি নির্দিষ্ট অংশে চুলকানির শুরু হয় এবং চুলকানির স্থান ধীরে ধীরে গোলাকার এবং বড় হতে থাকে। দাউদ কখনো কখনো নিজে নিজেই সেরে যেতে পারে। তবে দুই সপ্তাহ যাবৎ কোন উন্নতি না দেখা দিলে এন্টিবায়োটিক খাওয়া উচিৎ অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।

১. ক্লোপাইরোক্স ক্রিম ( Clopirox cream ) 

দাউদ নিরাময়ে ক্লোপাইরোক্স ক্রিম অনেক কার্যকরী একটি ওষুধ। দাউদের স্থানে এই ক্রিমটি লাগালে চুলকানি থেকে ততখনাৎ আরাম পাওয়া যায়। এছাড়া এটি দাউদ সৃষ্টিকারী রিংওয়ার্ম ছত্রাকের উপর আক্রমণ করে তা ধংস করে দেয়। ফলে খুব দ্রুত আপনি দাউদ থেকে মুক্তি পাবেন।

 

২. ইকোনেট ( Econet ) 

ইকোনেট অনেক জনপ্রিয় একটি দাউদের ওষুধ। এটি দাউদ থেকে সৃষ্ট ক্ষত স্থানে লাগালে চুলকানি থেকে দ্রুত আরাম দেয়। এছাড়া এটি ক্ষত স্থান দ্রুত সারাতে কার্যকরী। দাউদ ছাড়াও অন্যান্য চুলকানির ক্ষেত্রেও এই ক্রিমটি অনেক কার্যকরী।

 

৩. লুকান আর 

লুকান আর একটি ড্রাই পাওডার সিরাপ। আপনার বাচ্চার দাউদ হলে এটি সেবন করাতে পারেন। লুকান আর দাউদ নিরমায়ে খুবই কার্যকরী একটি সিরাপ। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি দ্রুত দাউদ নিরাময় করতে পারে। এছাড়া বয়স্করাও এটি সেবন করতে পারবেন।

 

৪. রেনাসন ক্রিম ( Renaissance Cream ) 

রেনাসন একটি এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম যেটি দাউদ সৃষ্টিকারী রিংওয়ার্ম ধংস করতে সক্ষম। এছাড়া এটি চুলকানির অনুভতি ব্লক করে দেয় ফলে আপনি খুবই দ্রুত আরাম পাবেন। দাউদ ছাড়াও এটি ইস্ট জাতীয় বিভিন্ন ধরনের চুলকানি সৃষ্টিকারী ছত্রাক ধংস করে দেয়। ফলে আপনি দ্রুত দাউদ থেকে মুক্তি পাবেন।

 

৫. কিটন সোপ ( Keaton soap ) 

কিটন সোপ একটি এন্টিফাঙ্গাল সাবান। আপনার যদি ঘন ঘন দাউদ হয় তাহলে স্নান করার সময় এই সাবানটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি দেহে চুলকানি সৃষ্টিকারী কোন ছত্রাক থাকলে তা ধংস করে দেয়। ফলে আপনি ঘন ঘন দাউদ হওয়া থেকে মুক্তি পাবেন। সাবানটি আপনি বাজারে বিভিন্ন দোকানে পেয়ে যাবেন।

 

৬. হিমালয়া নিম সোপ ( Himalayan Neem Soap ) 

হিমালয়া বরাবরই বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক প্রোডাক্ট তৈরী করে আসছে। হিমালয়া নিম সোপ তার মধ্যে একটি। সাবান সাধারণত ছত্রাকের জন্ম দেয়। বিশেষ করে সুগন্ধ যুক্ত সাবান। তবে এই সাবানটি চুলকানি সৃষ্টিকারী সকল ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া ধংস করে দেয়। ফলে আপনার ভবিষ্যতে দাউদ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

 

দাউদ নিরাময়ে ঘরোয়া স্থায়ী চিকিৎসা

দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা, বাড়িতে বসেও আপনি বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক উপায়ে দাউদ নিরাময় করতে পারবেন। নিচে এরকম কয়েকটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো।

 

১. নিম পাতা

নিম পাতা ছত্রাক সহ বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ধংস করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি দাউদ সহ বিভিন্ন ধরনের চুলকানি নিরাময়ে অনেক কার্যকারী। নিম পাতা বেটে সাথে একটু পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে দাউদের স্থানে লাগাতে পারেন। কিছুদিন এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে দ্রুত দাউদ নিরাময় হয়ে যাবে।

 

২. রসুন

রসুন একটি এন্টিফাঙ্গাল উপাদান। এটি যেকোন ধরনের ছত্রাক ধংস করতে সক্ষম। রসুনের কোয়া বেটে পেস্ট বানিয়ে দাউদে লাগাতে পারেন। কিছুদিন পর দাউদ নিরাময় হয়ে যাবে।

 

৩. হলুদ

হলুদ একটি এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিসেপটিক উপাদান। এটি বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। হলুদ বাটা ক্ষত স্থানে লাগালে দাউদ সৃষ্টিকারী রিংওয়ার্ম দ্রুত ধংস করে দেয়। হলুদ বাটা ১০-১৫ মিনিট দাউদের উপর লাগিয়ে স্নান করে নিন।

 

৪. অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরাও দাউদ নিরাময়ে সক্ষম। তবে এটি ধীরে ধীরে কাজ করে। অ্যালোভেরা দাউদ এর উপর ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি চুলকানি থেকে আরাম পাবেন। এছাড়া এটি ধীরে ধীরে দাউদ থেকে সৃষ্ট ক্ষত স্থান সারিয়ে তুলবে। তবে বাজার থেকে কেনা অ্যালোভেরা জেল বেশী কার্যকরী হবে।

 

৫. নারকেল তেল

নারকেল তেল চুলকানি নিরাময়ে খুবই কার্যকরী। গ্রামে এটি চুলকানি নিরাময়ে প্রচুর ব্যবহার করা হয়। নারকেল তেল দাউদ এর স্থানে ঘন করে লাগাতে পারেন। এটি দাউদের উপরে চুলকানি সৃষ্টিকারী সকল ছত্রাক দ্রুত ধংস করে দেয়। ফলে আপনি দ্রুত আরাম পাবেন।

দাদ ব্যথার চিকিৎসা

দাউদ থেকে কখনো কখনো ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। তবে দাদ থেকে খুব বেশি ব্যথা হয় না। যদি অতিরিক্ত ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে ব্যথার বড়ি খেতে পারেন। তবে যত সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। দাউদের ওষুধ খেতে থাকুন এবং দাউদ নিরাময় হওয়া পর্যন্ত ব্যথা একটু সহ্য করে নিন। অতিরিক্ত ব্যথা দেখে দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please Allow Our Ads, Just Disable Your ADSBLOCKER.